বিশ্বনেতাদের অনেক খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য তাদের সুনিদ্রার অভাবকেই দায়ী করেছেন সাংবাদিক Arianna Huffington। উন্নততর বিশ্ব তৈরি করতে তিনি আমাদের সবার প্রতি পরিমিত ঘুম ঘুমানোর আহ্বান জানান। সমস্ত পৃথিবী যখন হাতের মুঠোয়, আঙুলের ইশারায় যুক্ত থাকতে পারছি পৃথিবীর আর প্রান্তের মানুষের সাথেও, তখন ঘুমানোর ফুসরত পাওয়াটাই কঠিন বৈকি! ফলে ঘুমের জন্য বরাদ্দকৃত সময়টুকুতে আমরা ভালো ঘুম ঘুমিয়ে উঠতে পারি না। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এ্যালকোহলে নেশাতুর হলে যে সব উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়, সুনিদ্রার অভাবজনিত কারণে একই উপসর্গ দেখা যায়- প্রতিক্রিয়ায় স্থবিরতা, বিবেচনাবোধ লোপ এবং বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়া। সহজভাবে বলা যায়, আমরা যখন পরিমিত ঘুম ঘুমাতে পারি না, তখন আমরা একরকম মাতাল অবস্থায় থাকি।
আজকে রাতে ঘুমের জন্য পাঁচটি বিষয় মেনে চলুন। দেখবেন চমৎকার ঘুম ঘুমিয়ে সকালে জেগে উঠছেন ঝরঝরে শরীর আর প্রফুল্ল মন নিয়ে।
১। মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত সমস্ত শরীর প্রশান্ত রাখুন:
শরীর ও মন যদি প্রশান্ত থাকে তবে রাতে চমৎকার একটি ঘুম আপনার প্রাপ্য। টেনশনমুক্ত অনুভূতি থেকেই আমাদের শরীর ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নেয়। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, শরীর ও মন শান্ত থাকলে ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ঘুমের আগে তাই শরীর ও মনকে শান্ত করুন। ঝেড়ে ফেলুন সকল মানসিক চাপ। রেখে দিন ওগুলো পরদিন সকালের জন্য; আগে আজকের রাতের ঘুম হোক সুন্দর।
২। কল্পনায় আপনার মনকে নিয়ে যান অন্য কোথাও:
একটি ব্যস্ত দিন শেষে এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রভাব মনের মাঝে থেকে যেতে পারে দীর্ঘসময় ধরে। মনকে ভাবনাশূন্য করা কঠিন। কিন্তু আপনি মনকে টেনে নিতে পারেন ভালোলাগা কোন কল্পনার রাজ্যে। কল্পনার রাজ্যে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন, টেরই পাবেন না।
৩। ঘরের আলো কমিয়ে দিন আর এড়িয়ে চলুন ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিন:
Harvard Medical School’s Sleep Lab এর গবেষকরা সম্প্রতি ঘুমের মানের উপর আলোর বিরূপ প্রভাব দেখিয়েছেন। যতদূর সম্ভব ঘরে আলো কম রাখুন। আর টিভি, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের
মনিটর, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আলো এড়িয়ে চলুন। এগুলোর আলো আপনার ঘুমের মানসিক প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর।
৪। শোবার ঘর ঠাণ্ডা রাখুন:
রাতে তাপমাত্রা যখন ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে তখন আমাদের শরীর ঘুমের সংকেত পায়। তাই আপনি শোবার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে সেরে নিতে পারেন। ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে একটু কম হলে ভালো। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে আর অবশ্যই ভালো ঘুম হবে।
৫। লিখে ফেলুন তিনটি ভালো জিনিস:
The Positive Psychology Movement এর প্রতিষ্ঠাতা Dr. Martin Seligman আবিষ্কৃত “Three Good Things” ঘুমের জন্য কার্যকরী ভালো একটা মানসিক ব্যায়াম। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ভালো কাজের কথা লিখে রাখলে সেগুলো মনের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে। যা মনে আনবে প্রশান্তি। আর মনে প্রশান্তি মানেই ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা।
আজকে রাতে ঘুমের জন্য পাঁচটি বিষয় মেনে চলুন। দেখবেন চমৎকার ঘুম ঘুমিয়ে সকালে জেগে উঠছেন ঝরঝরে শরীর আর প্রফুল্ল মন নিয়ে।
১। মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত সমস্ত শরীর প্রশান্ত রাখুন:
শরীর ও মন যদি প্রশান্ত থাকে তবে রাতে চমৎকার একটি ঘুম আপনার প্রাপ্য। টেনশনমুক্ত অনুভূতি থেকেই আমাদের শরীর ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নেয়। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, শরীর ও মন শান্ত থাকলে ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ঘুমের আগে তাই শরীর ও মনকে শান্ত করুন। ঝেড়ে ফেলুন সকল মানসিক চাপ। রেখে দিন ওগুলো পরদিন সকালের জন্য; আগে আজকের রাতের ঘুম হোক সুন্দর।
২। কল্পনায় আপনার মনকে নিয়ে যান অন্য কোথাও:
একটি ব্যস্ত দিন শেষে এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রভাব মনের মাঝে থেকে যেতে পারে দীর্ঘসময় ধরে। মনকে ভাবনাশূন্য করা কঠিন। কিন্তু আপনি মনকে টেনে নিতে পারেন ভালোলাগা কোন কল্পনার রাজ্যে। কল্পনার রাজ্যে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন, টেরই পাবেন না।
৩। ঘরের আলো কমিয়ে দিন আর এড়িয়ে চলুন ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিন:
Harvard Medical School’s Sleep Lab এর গবেষকরা সম্প্রতি ঘুমের মানের উপর আলোর বিরূপ প্রভাব দেখিয়েছেন। যতদূর সম্ভব ঘরে আলো কম রাখুন। আর টিভি, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের
মনিটর, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আলো এড়িয়ে চলুন। এগুলোর আলো আপনার ঘুমের মানসিক প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর।
৪। শোবার ঘর ঠাণ্ডা রাখুন:
রাতে তাপমাত্রা যখন ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে তখন আমাদের শরীর ঘুমের সংকেত পায়। তাই আপনি শোবার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে সেরে নিতে পারেন। ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে একটু কম হলে ভালো। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে আর অবশ্যই ভালো ঘুম হবে।
৫। লিখে ফেলুন তিনটি ভালো জিনিস:
The Positive Psychology Movement এর প্রতিষ্ঠাতা Dr. Martin Seligman আবিষ্কৃত “Three Good Things” ঘুমের জন্য কার্যকরী ভালো একটা মানসিক ব্যায়াম। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ভালো কাজের কথা লিখে রাখলে সেগুলো মনের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে। যা মনে আনবে প্রশান্তি। আর মনে প্রশান্তি মানেই ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা।