Tuesday, September 10, 2013

কিডনি স্টোন থেকে বাঁচার উপায়

গরমে কিডনি স্টোনের সমস্যা ৪০ শতাংশ বেড়ে যায় এমন তথ্যই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ কিডনি স্টোনের সমস্যায় কষ্ট পান।
সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, যারা খুব গরমের মধ্যে কাজ করেন এবং সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার সুযোগ পান না তাদের মধ্যে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৫-৭ ডিগ্রি বেড়ে গেলে কিডনি স্টোনের সমস্যাও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। অনেককেই কাজের প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হতে হয়। সেক্ষেত্রে যারা অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গা থেকে গরম অঞ্চলে স্থানান্তরিত হন তাদের কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাপমাত্রাবৃদ্ধির সঙ্গে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। তখন যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া হয় তখন উচ্চমাত্রায় ইউরিন কনসেনট্রেশন হয়, যা কিডনিতে স্টোন হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাপমাত্রা স্টোন হওয়ার অন্যতমবাড়ার সঙ্গে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং এটিও কারণ।

কিডনি স্টোন এড়ানোর জন্যে নয়টি বিশেষ উপায় জানানো হল-

১) সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। অন্তত দুই লিটার তো নিশ্চয়ই। এছাড়াও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও খানিকটা পানি খেয়ে তবেই শুতে যান। এতে সারা রাত শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।

২) নুন-লেবু-চিনির পানি খান।

৩) নরম পানীয়, আইসড টি, চকোলেট, স্ট্রবেরি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যান। এই সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে যা ক্যালশিয়াম অক্সালেট কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

৪) ক্যাফেন অথবা কফি যতটা সম্ভব কম খান। কফি বেশি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।

৫) কাঁচা নুন একেবারেই খাবেন না।

৬) প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৭) এনিমাল প্রোটিন যেমন মাংস, মাছ ও ডিম যতটা সম্ভব কম খান। এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে পিউরাইন থাকে যা খুব তাড়াতাড়ি ইউরিক এসিডে ভেঙে যায়।

৮) প্রচুর পরিমাণে স্যালাড খান। শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।

৯) নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

No comments:

Post a Comment